নাটকের আবহ রচনায় গান

আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় নাটকের আবহ রচনায় গান

নাটকের আবহ রচনায় গান

 

নাটকের আবহ রচনায় গান

 

নাটকের আবহ রচনায় গান

রবীন্দ্রনাটকের কিছুগান আবহ রচনায় সাহায্য করে। গানের ভিতর দিয়েই পাওয়া যায় নাটকের পটভূমি ও পরিস্থিতির আবহমণ্ডল। ‘বিসর্জন’ নাটকে পুরবাসিগনের গান

‘উলঙ্গিনী নাচে রণরঙ্গে’

রক্ত পিপাসু ত্রিপুরেশ্বরীর পূজার মঞ্চপরিবেশ দর্শকের মনে সঞ্চার করে। শারদোৎসবে’ এ সব গানই শরৎকালীন আবহ রচনা করেছে, তবু বিশেষ করে উল্লেখিত গান গুলিতে প্রসন্ন পরিবেশ সংগীতে বিনিময় ও মূর্তমুখর হয়ে উঠেছে-

‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে

‘আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়া

“আমরা বেধেছি কাশের গুচ্ছ

লেগেছে অমল ধবল পালে মন্দমধুর হাওয়া’

এই নাটকের বেশিরভাগ গানের আশ্রয় রাগরাগিনী সমূহ যেমন-বিভাস, সিন্ধু, ভৈরবী, ললিত, রামকেলি শেষরাত্রি ঊষা প্রভাতের আভাস এনে দেয়। ফলে সময় নাটকে মেঘমুক্ত মালিন্যমুক্ত প্রভাতের স্নিগ্ধ পবিত্র প্রসন্নতার পরিমন্ডল আমরা পাই।
‘রাজা’ নাটকে বসন্ত ঋতুর পরিবেশ গানের কথায় এবং বাহারের সুরে সুরে অমরত্ব লাভ করেছে। যেমন

 

Google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

“আজি দখিন দুয়ার খোলা

‘আজি কমল মুকুল দল খুলিল’

“পুষ্প ফোটে কোন কুঞ্জবনে’

‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে

এই সকল গান এক অনুকূল বাসন্তী পরিবেশ রচনা করে। অচলায়তনের চার দেয়ালের বাইরে যে প্রানবন্ত জীবন আছে, যে জীবন প্রকৃতির সংসর্গে প্রানবান ও কনিষ্ঠ সেই জীবনে আবহমন্ডল রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন শোন পাংশুদের কন্ঠের এই সব গানের মাধ্যমে।

‘রক্তকরবী’ নাটকে ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে এ প্রারম্ভিক গান ও শেষ ফলনের ফসল এবার এই অন্তিম গান ব্যাবহৃত হয়েছে কেবল আবহরচনার কারনেই। গানের মধ্যদিয়ে নাটকের আবহরচনায় রবীন্দ্রনাথ সবচেয়ে কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন

‘মুক্তধারা’ নাটকে। ভৈরব মন্ত্রে দিক্ষিত সন্ন্যাসীদের স্তবগান ‘জয় ভৈরব, ‘জয় শঙ্কর’ এবং যন্ত্রবন্দনার গান ‘নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র’, ‘মুক্তধারা’ নাটকের পরবর্তী নাট্য উপযোগী আবহমণ্ডল রচনায় গভীরভাবে আনুকূল্য দিয়েছে।

তাই রবীন্দ্রনাথের রচনায় এই আবহনির্মানের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেই দায়িত্ব তিনি প্রত্যক্ষত নেননি বটে কিন্তু বস্তুত কোন কোন গানের কথা ও সুরের সমন্বয় এমন একটি জটিল প্রত্যাঘাতপূর্ন আবহ সঞ্চার করে যার রেশ অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকে নাট্যঘটনায়।

 

নাটকের আবহ রচনায় গান

 

ঠিক স্পষ্ট বোঝা যায় না এমন এক অনুভূতি তৈরী হয়, যার ঘূর্ণিস্রোতে ঘটনার যথার্থ পরিবেশ রচিত হয়, নাটকের আবেদনও একটা স্থির লক্ষের পরিপূর্ণতা পেয়ে যায়। নাটকের বক্তব্যকে কোন একটি কেন্দ্রে স্থির রাখবার জন্য অথবা আবহরচনায় সুযোগ্য কারণে রবীন্দ্রনাটকে কোন কোন গান প্রয়োগের যথার্থ তাৎপর্য পাওয়া যায়।

আরও দেখুন :

Leave a Comment