আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় রবীন্দ্রনাথের নাটক ফাল্গুনী
রবীন্দ্রনাথের নাটক ফাল্গুনী
রবীন্দ্রনাথের নাটক ফাল্গুনী
১৩২২ সালে রবীন্দ্রনাথের নাটক ফালগুনী প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্রনাথের জীবনের বলাকা পর্বের নাটক। রাজা ছিল গীতাঞ্জলি যুগের রচনা। ফাল্গুনী তাই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর একটি নাট্যোপহার। এতে সঙ্গীতের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম দৃশ্যের গীতিভূমিকায় বেণুবনের গান:
ওগো দখিন হাওয়া, ও পথিক হাওয়া
দোদুল দোলায় দাও দুলিয়ে।
দ্বিতীয় দৃশ্যের গীতিভূমিকায় রয়েছে দূরন্ত প্রাণের গান :
‘আমরা খুঁজি খেলার সাথি।’
এর পরে রয়েছে শীত বিদায়ের গান :
‘ছাড় গো তোরা ছাড় গো
আমি চলবো সাগর পার গো
এর পরই রয়েছে নবযৌবনের গান :
‘আমরা নুতন প্রাণের চর
আমরা থাকি পথে ঘাটে
নাই আমাদের ঘর।’ ইত্যাদি। ফালগুনী নাটকের পূর্ণ
প্রথম দৃশ্য-
নবীনের আবির্ভাব-বেণুবনের গান:—ওগো দখিন হাওয়া পথিক হাওয়া,
পাখির নীড়ের গান:- — আকাশ আমার ভরল আলোয়;
ফুলন্ত গাছের গান:- – ওগো নদী আপন বেগে পাগল পারা
যুবকদলের গান: -ওরে ভাই ফালগুন লেগেছে বনে বনে,
যুবকদল ও সর্দারের গান:——– আমাদের পাকিবে না চুল গো আমাদের ভয় কাহারে।
দ্বিতীয় দৃশ্য-
দুরন্ত প্রাণের গান:——- আমরা ঝুঁজি খেলার সাথী,
শীত বিদায়ের গান:—— ছাড় গো তোরা ছাড় গো;
নবযৌবনের গান:—— আমরা নুতন প্রাণের চর
উদভ্রান্ত শীতের গান:—— ছাড় গো আমায় ছাড় গো;
যুবকদল ও চন্দ্রহাসের গান:— -আমাদের খেপিয়ে বেড়ায় যে; চলি গো চলি গো যাই চলে ভালো মানুষ নইরে মোরা।
তৃতীয় দৃশ্য-
বসন্তের হাসির গান:—— ওর ভাব দেখে যে পায় হাসি;
আসন্ন মিলনের গান:——আর নাই যে দেরি নাই যে দেরি।
যুবকদল: ——–মোরা চলবা না;
বাউল:——ধীরে বন্ধু ধীরে ধীরে।

সমবেত উৎসবের গান:———- আয়রে তবে মাতরে সবে আনন্দে। এই নাটকে সব চরিত্রেরর মুখে গান নেই। শুধু নবযৌবনের প্রতীক যার তাদের কণ্ঠেই গান। তাই যুবকদল ও বাউল এতো সঙ্গীতময়। ফালগুনী ঠিক নাটক নয়, গীতিনাট্যও নয়, একে কথার গ্রন্থনায় গানের সমারোহ বলা যেতে পারে।
আরও দেখুন :