প্রকৃতির প্রতিশোধ

আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় প্রকৃতির প্রতিশোধ

প্রকৃতির প্রতিশোধ

 

প্রকৃতির প্রতিশোধ

 

প্রকৃতির প্রতিশোধ

নাটক প্রকৃতির প্রতিশোধ যখন রচনা করেন তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স ২৩। কারোয়ার থেকে ফিরবার সময় জাহাজে প্রকৃতির-প্রতিশোধ-এর কয়েকটি গান লিখেছিলেন কবি। অদ্ভুত আনন্দের সঙ্গে প্রথম গানটি তিনি জাহাজের ডেকে বসে সুর দিয়ে গাইতে গাইতে রচনা করেছিলেন-

হ্যাদে গো নন্দরানী

আমাদের শ্যামকে ছেড়ে দাও

আমার রাখাল বালক গোষ্ঠে যাব

আমাদের শ্যামকে দিয়ে যাও।

প্রকৃতির-প্রতিশোধ-এর ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন:

“তখন আমার বয়স তেইশ কিম্বা চরব্বিশ হবে, কারোয়ার থেকে জাহাজে আসতে আসতে হঠাৎ যে গান সমুদ্রের উপর প্রভাত সূর্যালোকে সম্পূর্ণ হয়ে দেখা দিল তাকে নাট্যীয় বলা যেতে পারে, অর্থাৎ যে আত্মগত নয় সে কল্পনায় রূপায়িত । হ্যাদে গো নন্দরানী গানটি একটি ছবি, যার রস নাট্যরস। এই গানটি প্রকৃতির-প্রতিশোধে ভুক্ত করেছি। এই আমার হাতের প্রথম নাটক, যা গানের ছাঁচে ঢালা নয়। এই বইটি কাব্যে এবং নাট্যে মিলিত।

 

Google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

প্রকৃতির-প্রতিশোধ থেকেই রবীন্দ্রনাথ স্বতন্ত্রভাবে নাটকে গান ব্যবহারে প্রয়াস পেলেন। এ নাটকে কিছু গান আছে যা নাটকের পরিস্থিতির অন্তর্গত। ভিক্ষুকদের গান, স্ত্রীলোকদের গান, পুরুষের গান প্রভৃতি এমনি রচনা, যা নাটকেরই অঙ্গ, এর বাইরে এসব গানের কোন মূল্য নেই। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তার শিক্ষা-সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা (১৯০৮) প্রবন্ধমালায়।

ন্যাশনালিজম (ইংরেজি: Nationalism, ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার বিরোধিতা করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি রিলিজিয়ন অফ ম্যান (ইংরেজি: Religion of Man, ১৯৩০; বাংলা অনুবাদ মানুষের ধর্ম, ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়।

 

প্রকৃতির প্রতিশোধ

 

কিন্তু কিছু গানে অনির্বচনীয় সৌন্দর্যের আকাঙ্খা এসে মিশ্রিত হয়েছে, যার জন্য এসব গান নাট্যকর্মের সীমা অতিক্রম করে সাধারণ সঙ্গীতে পর্যবসিত হয়েছে। প্রকৃতির-প্রতিশোধ নাটকে ব্যাপকভাবে পদাবলী কীর্তনের অনুষঙ্গ ব্যবহৃত হয়েছে।

আরও দেখুন :

Leave a Comment