আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় প্রাক বৈদিক যুগের বাদ্যযন্ত্র
প্রাক বৈদিক যুগের বাদ্যযন্ত্র
প্রাক বৈদিক যুগের বাদ্যযন্ত্র
সিন্ধু উপত্যকায় খননকার্যের ফলে সেখানকার সুপ্রাচীন সভ্যতা, শিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক অভাবনীয় ইতিহাসের দ্বার উন্মোচন হয়েছে। সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত বৈদিক সভ্যতাকেই সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা মনে করা হতো।
কিন্তু ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার মহেঞ্জোদারো এবং অবিভক্ত পাঞ্জাবের মন্টোগোমারি জেলার হরপ্পায় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ফলে আগের ধারণা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ প্রথমবার সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও খননকার্যে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন স্যার জন মার্শাল, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, দয়ারাম সাহানী প্রমুখ। তাঁদের মতে সিন্ধু সভ্যতা প্রাক বৈদিক সভ্যতা।
মোটামুটিভাবে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সাল পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিলো বলে বেশিরভাগ গবেষক একমত পোষণ করেন। সিন্ধু সভ্যতার খননকার্যের ফলে পাওয়া সংগীতের নিদর্শন থেকে সে যুগের সংগীত চর্চা এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মেলে।
ও যদিও সিন্ধু সভ্যতা থেকে পাওয়া বিভিন্ন সংগীত উপকরণ অর্থাৎ বাদ্যযন্ত্র বা তার অংশবিশেষ খুব অল্প পরিমাণে পাওয়া গেছে এবং এগুলো অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায় নি তবুও এর ঐতিহাসিক মূল্য অত্যন্ত মূল্যবান । মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার খননকার্য থেকে পাওয়া গেছে বাঁশি (ভগ্নাবশেষ বা বিকৃত অবস্থায়), বীণা, চামড়ার বাদ্য ও ব্রোঞ্জের তৈরি নর্তক নর্তকীর ভগ্নমূর্তি।
দ্বিতীয়বার যখন আর্নেস্ট ম্যাকে মহেঞ্জোদারোর স্তূপ খনন করেন, তখনও সেখান থেকে পাওয়া গেছে বাঁশি, বিকৃত বীণার অবয়ব ও ব্রোঞ্জের নৃত্যশীলা নারীমূর্তি। ও গবেষকদের কাছে এই সকল উপাদান অত্যন্ত মূল্যবান, কেননা হাড়ের তৈরি সাধারণ বাঁশি, কতগুলো বীণা, চামড়ার মৃদঙ্গ জাতীয় বাদ্য ইত্যাদি সুপ্রাচীন সিন্ধু সভ্যতায় বাদ্যযন্ত্রের অনুশীলনের প্রমাণ বহন করে।
গুজরাট অঞ্চলের লোখাল খননকার্যে যে সকল সামগ্রী পাওয়া গেছে সেগুলোর সঙ্গে হরপ্পা থেকে পাওয়া জিনিসপত্রের সাদৃশ্য আছে। লোথাল আবিস্কারে সংগীত সম্পর্কিত সামগ্রীর মধ্যে কোন একটি বাদ্যযন্ত্রের ব্রিজ পাওয়া গেছে। ব্রিজের দুটি স্থানে ছিদ্র, তা থেকে অনুমান করা যায় দোতারা মত একটি বাদ্যযন্ত্রে দু’টি তার সংযুক্ত ছিলো। নাগপুর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক এস.আর রাও ঐ ব্রিজটি আবিষ্কার করেন।
তিনি বলেন A shell piece with grooves at two places, which must have been used as a ‘bridge’ in some musical instruments. In this case we find that two strings must have been used. This shell piece is complete. It comes from the middle levels of the Harappa culture at Lothal, datable at 2000 B.C.”
ঐতিহাসিক স্টুয়ার্ট পিপট তাঁর Pre-Historic India গ্রন্থে (পৃঃ ২৭০) লিখেছেন — ” নৃত্যের সঙ্গে মৃদঙ্গ, বেণু বা বাঁশি, তন্ত্রীযুক্ত বীণাজাতীয় বাদ্যযন্ত্র থাকতো। এগুলো ধ্বনিত হতো সাতটি স্বরে ।
ঐতিহাসিক রায়বাহাদুর দীক্ষিত তাঁর Pre-Historic Civilization of Indus Valley গ্রন্থে লিখেছেন — “Besides dancing, it appears that music was cultivated among the Indus people, and it seems probable that the earliest stringed instruments and drums (with which to keep rhythm accompaniment with the music) are to be traced to the Indus civilization.
In one of the terracotta figures a kind of drum is to be seen hanging from the neck, and one of the two seals we find a precursor of the modern mridanga with skins on either end. Some of the pictographs appear to be representations of a crude stringed instrument, prototype of the modern vina, while pair of castanets like the modem karatala, have also found.
আরও দেখুন :