Site icon Arts and Culture Gurukul [ শিল্প ও সংস্কৃতি গুরুকুল ] GOLN

রবীন্দ্র গল্পে স্বদেশ রবীন্দ্র নাটকে স্বদেশ

রবীন্দ্র গল্পে স্বদেশ রবীন্দ্র নাটকে স্বদেশ

আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় রবীন্দ্র গল্পে স্বদেশ রবীন্দ্র নাটকে স্বদেশ

রবীন্দ্র গল্পে স্বদেশ রবীন্দ্র নাটকে স্বদেশ

 

 

রবীন্দ্র গল্পে স্বদেশ রবীন্দ্র নাটকে স্বদেশ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধের পাশাপাশি বহু গল্পেওস্বদেশি আন্দোলনে সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে কখনো সরাসরি, কখনো বা রূপকের আশ্রয়ে সমালোচনা করেছেন। তাঁরশাসকবিরোধী গল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্প ‘মেঘ ও রৌদ্র’ ও ‘রাজটিকা’।

‘মেঘ ও রৌদ্র’ গল্পটি লেখা হয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়টাতে, রবীন্দ্রনাথ যখন প্রকাশ্য রাজপথে আন্দোলনকারীদের মধ্যবর্তী হয়ে থাকতেন। তখনকার সকল রচনাতেই সরাসরি প্রতিবাদের বিষয়টি স্পষ্ট। ভারতবাসীর প্রতি ইংরেজদের অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ, অত্যাচার সম্বন্ধীয় কোনো বিবাদের ক্ষেত্রে ইংরেজদের প্রতিটি আইনের প্রতি পক্ষপাত করা হতো।

‘মেঘ ও রৌদ্র’ গল্পটিতে তিনি তৎকালীন সময়ের বাস্তব রূপটিকেই তুলে ধরেছিলেন। এ গল্পে তিনি শশীভূষণ নামক মুখ্য চরিত্রের মাধ্যমে নানা পরিক্রমায় তৎকালীন সময়ের সমাজের নিচুতা, স্বার্থপরতা, স্বজাতিবিদ্বেষ, শ্রেণিবৈষম্য, ভীরুতা প্রভৃতির সমালোচনা করেছেন। তিনি তুলে ধরেছেন তৎসমাজের রুঢ় বাস্তব সত্যকে, যে কারণে ভারতবাসীকে ইংরেজরা অতি সহজে
শোষণের পাত্র করে তুলেছিল।

এ প্রসঙ্গে নিজের উক্তিটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক- “আমাদের স্বজাতিকে যে সম্মান আমরা নিজে দিতে জানি না, আশা করি এবং আবদার করি সেই সম্মান ইংরেজ আমাদিগকে যাচিয়া সাধিয়া দিবে।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

এক বাঙ্গালী যখন নীরবে মার খায় এবং অন্য বাঙ্গালী যখন তাহা কৌতূহলভরে দেখে এবং স্বহস্তে অপমানের প্রতিকার সাধন বাঙ্গালীর নিকট প্রত্যাশাই করা যায় না এ কথা যখন বাঙ্গালী বিনা লজ্জায় ইঙ্গিতেও স্বীকার করে তখন ইহা বুঝিতে হইবে যে, ইংরেজ দ্বারা হত ও আহত হইবার মূল প্রধান কারণ আমাদের নিজেদের স্বভাবের মধ্যে।

গল্পের মূল নায়ক স্বদেশ ও স্বজাতিবৎসল শশীভূষণ ইংরেজদের কৌতুকপ্রবণতা ও অপমানের বিরোধিতা করলে তাকে চরম লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় এবং এর পেছনে থাকে সুবিধাবাদী দুর্বলচিত্তের কতক স্বদেশীয়; যা মূলত ‘মেঘ ও রৌদ্র’ গল্পের বিষয়বস্তু হলেও তৎকালীন ভারতবর্ষের রূপটি ছিলো। এমনই।

তাই রবীন্দ্রনাথ তাঁর কয়েকটি গল্পে এইরূপ অভ্যন্তরীণ কোন্দল, উঁচু-নিচু প্রভেদ, ইংরেজ- বিপ্লবী জমিদার প্রজার নিষ্ঠুর দিকগুলো তুলে ধরেছেন কোনো-না-কোনো চরিত্রের প্রতিবাদী ভূমিকায়। উদাহরণ হিসেবে পাই, ‘একটা আষাঢ়ে গল্প’ (১২৯৯), ‘কর্তার ভূত’ (১৩২৯), ‘হালদার গোষ্ঠী’ (১৩২১) ‘উলুখড়ের বিপদ’ ও ‘বদনাম’ প্রভৃতি গল্পের মধ্যদিয়ে মূলত প্রতিবাদী রবীন্দ্রনাথের দর্শন পাই। সকল গল্পের দৃষ্টান্ত না বাড়িয়ে নিচের ছকের মাধ্যমে এই রূপ প্রতিবাদ প্রবণতাস্বরূপ লক্ষণসমূহ নির্দেশ করা হলো-

 

 

আরও দেখুন :

Exit mobile version