শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথের অতুলনীয় ঋতুসঙ্গীত রচনার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য রচনা শারদোৎসব (১৩০৫)। এ সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথের ঋতু- নঙ্গীতের প্রকৃত সূচনা। শারদোৎসব নাটকে গান আছে মোট ৯টি । প্রথম দৃশ্যে বালকদের কণ্ঠে গান আছে একটি :

‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি

আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি।’

দ্বিতীয় দৃশ্যে বালকদলের গান:

‘আজ ধানের ক্ষেত্রে রৌদ্রছায়ায়

লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুয়োচুরি খেলা।

ঠাকুর দাদা ও বালকদলের সমবেত গান:

“আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ আমরা বেঁধেছি শেফালি মালা

নবীন ধানের মঞ্জুরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা’, ও

আমার নয়ন-ভুলানো এলে

আমি কী হেরিলাম হৃদয়ে মেলে।

ঠাকুর দাদা গেয়েছেন:

‘আনন্দেরই সাগর হতে এসেছে আজ বান’

সন্ন্যাসীর কন্ঠে গান আছে তিনটি:

‘তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ’

‘নবকুন্দধ্ববলা সুশীতল ও

‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া’।

 

শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্য জীবন

৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ও ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমের আম্রকুঞ্জ উদ্যানে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করলেন “ব্রহ্মবিদ্যালয়” বা “ব্রহ্মচর্যাশ্র” নামে একটি পরীক্ষামূলক স্কুল।

১৯০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী মারা যান। এরপর ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কন্যা রেণুকা, ১৯০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়।

এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ তার জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান আধুনিক কৃষি ও গোপালন বিদ্যা শেখার জন্য। ১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কৃষিবিজ্ঞান শেখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

 

শারদোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

এই সময় শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে অর্থসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পুত্র ও জামাতার বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভারও রবীন্দ্রনাথকে বহন করতে হয়। এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ স্ত্রী’র গয়না ও পুরীর বসতবাড়ি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।

আরও দেখুন :

Leave a Comment