আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় অতুলপ্রসাদ সেনের স্বদেশচেতনার গান
অতুলপ্রসাদ সেনের স্বদেশচেতনার গান
অতুলপ্রসাদ সেনের স্বদেশচেতনার গান
অতুলপ্রসাদ সেনের স্বদেশপর্যায়ের গানের তালিকা
১ . উঠ গো ভারত-লক্ষ্মী, উঠ আদি-জগত-জন-পূজ্যা,
দুঃখ দৈন্য সব নাশি করো দূরিত ভারত-লজ্জা।
ছাড়ো গো ছাড়ো শোকশয্যা,
কর স পুনঃকমল-কনক ধন-ধান্যে!
জননী গো লহো তুলে বক্ষে,
সান্ত্বনা বাস দেহো তুলে চক্ষে,
কাঁদিছে তব চরণতলে ত্রিংশতি কোটি নরনারী গো।
কাণ্ডারী নাহিক কমলা, দুখলাঞ্ছিত ভারতবর্ষে;
শঙ্কিত মোরা সব যাত্রী কাল- সাগর কম্পন-দর্শে।
তোমার অভয়-পদ-স্পর্শে, নব হর্ষে,
পুনঃচলিবে তরণী শুভ লক্ষ্যে।
জননী গো লহো তুলে বক্ষে,
সান্ত্বনা বাস দেহো তুলে চক্ষে কাঁদিছে তব
চরণতলে ত্রিংশতি কোটি নরনারী গো।
ভারত-শ্মশান করো পূর্ণ পুনঃ কোকিল-কূজিত কুঞ্জে,
দ্বেষ-হিংসা করি চূর্ণ করো পূরিত প্রেম-অলি-গুঞ্জে
দূরিত করি পাপ-পুঞ্জে তপঃপুঞ্জে
পুনঃবিমল করো ভারত পুণ্যে।
জননী গো লহো তুলে বক্ষে,
সান্ত্বনা বাস দেহো তুলে চক্ষে কাঁদিছে তব
চরণতলে ত্রিংশতি কোটি নরনারী গো।
অথবা, জননী, দেহো তব পদে ভক্তি
দেহো নব আশা, দেহো নব শক্তিঃ
এক সূত্রে করো বন্ধন আজ ত্রিংশতি
কোটি দেশবাসী জনে।
২ . মোরে কে ডাকে আয় রে বাছা,
আয় আয় ! বহুদিন পরে যেন
মায়ের কথা শোনা যায়।
ওগো, তোমার করুণ স্বরে আপন জনে মনে পড়ে-
যাদেরে ফেলি’ ধূলি-
‘পরে আছি রত নিজ-সেবায়।
ও সুধাবাণী মরমে পশি
পড়িছে মরে সেহরাশি;
আজি আপন দেশে পরবাসী
থাকিতে মন নাহি চায়।
মা, তোমার করি’ অপমান
লভেছি বহু যশ মান আজ লাজে
অতি ম্রিয়মান এ মুখ দেখাতে তোমায়।
মা ডাকিলে যদি স্নেহ-ভাষে
রাখিবো সদা তব পাশে
ভুচছ-ধন-পদ-আশে
আর না যেন দিন যায়।
৩ . হও ধরমেতে ধীর, হও করমেতে বীর,
হও উন্নতশির নাহি ভয়।
ভুলি’ ভেদাভেদ-জ্ঞান হও সবে আগুয়ান,
সাথে আছে ভগবান হবে জয়।
নানা ভাষা, নানা মত নানা পরিধান,
বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান
দেখিয়া ভারতে মহাজাতির উত্থান
জগজন মানিবে বিস্ময়, জগজন মানিবে বিস্ময়।
তেত্রিশ কোটি মোরা নহি কভু ক্ষীণ,
হতে পারি দীন, তবু নহি মোরা হীন;
ভারতে জনম, পুআসিবে সুদিন-
ওই দেখো প্রভাত-উদয়,
ওই দেখো প্রভাত উদয়।
ন্যায় বিরাজিত যাদের নানা ভাষা করে বিঘ্ন পরাজিত
তাদের শরে সামা কভু নাহি স্বার্থে ডরে-
সত্যের নাহি পরাজয়, সত্যের নাহি পরায়।
৪ . কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে?
দু-দিনের ধনের লাগি ভুলিলে পরম ধনে!
দীনের দুঃখ করো হে মোচন, দীনের অভাব নাই এ দেশে!
দীনের ধনেই ধনী তোমরা- দীনবন্ধু হবেন সুখী।
দীনের দুঃখ করো হে মোচন, পুণ্য হবে ধন-অরজনে।
ঘরেতে ধন কর পুঁজি, সঙ্গে নেবে ভাব বুঝি?
দুটি ঘরে জ্ঞানের আলো, কোটি ঘরে আঁধার কালো;
এ আঁধার ঘুচাতে হবে নইলে এ দেশ এমনি রবে।
দানেই এ জ্ঞান দ্বিগুণ হবে এরাও তোমার মায়ের ছেলে।
এ আঁধার ঘুচাতে হবে যতনে, অতি যতনে।
জাতিকুল-অভিমান, দ্বেষ-নিন্দা ভেদ-জ্ঞান
পুরানো সে ত্যাগের কথা হৃদয়ে কি দেয় না ব্যথা?
সেই দেশের মানুষ নানা ভাষা তোমরা-
যেথা রাজার ছেলে হত ফকির,
যেথা পরের তরে ঝরত নবীন উৎসাহে আঁখি যেথা ধন হতে প্রেম ছিল বড়ো,
যেথা ধনী ছিল দীনের অধীন সেই দেশের
মানুষ তোমরা সে কথা কি আছে মনে?
কেন এলে তবে মানবের ভবে রবে যদি নিজ কাজে?
সবাকার মান হোক তব মান, অপমান পর লাজে।-
সে দিন কবে বা হবে ?
ভারতে আনিল মরণ-ভাই হে।
কবে হবে এ সুমতি, সবার উন্নতি হইবে সবারই সাধন-
হেন সাধন আর নাই হে ।
এ-হেন সাধনে জীবনে মরণে নানা ভাষা পূজিব হে প্রেমসিন্ধু । মোরা পুজিব তোমায়
সেবার কুসুম কুড়াইয়া, নিজের পূজা ঘুচাইয়া,
পরের দুঃখ ঘুচাইয়া, নবীন উৎসাহে ভারতের আশা পুরাইয়া।
তব পদে ঠাঁই যেন সবে পাই দয়া করো দীনবন্ধু ।
ওহে দীনবন্ধু, তুমি দীনজনের লও প্রণতি, নমো দীনবন্ধু ।
৫ . কঠিন শাসনে করো মা, শাসিত।
আমরা দয়ার তব নহি অধিকারী
ছিলে মা অতুল-বিভব শালিনী,
মোদের লাগিয়ে হলে কাঙালিনী:
দীনবেশ তব নানা ভাষা হেরিয়া জননী,
নয়নে নাহি অনুতাপ বারি।
স্বার্থ-মোহে মোরা সদাই হতজ্ঞান,
আপন দোষে মোরা হারাই নিজ মান।
ভায়েরে ঘৃণা করি, নবীন উৎসাহে করিয়া অপমান,
পরের কাছে মোরা কৃপা-ভিখারি।
আপন ধন পদ যশের আশায় মিথ্যা
প্রীতি-পূজা জানাই তোমায়;
প্রাণের অঞ্জলি দিতে নারি পায়
যে পদ ধৌত করে করে জাহ্নবী-বারি।
৬ . জাগো জাগো জাগো এবে।
হেরো পুরব-প্রান্তে ভানু-রেখা হে ভারতবাসী।
মঙ্গল-সংগীত শোনো বিহগ-কণ্ঠে।
পুষ্পে নব সৌরভ, গগনে নব হাসি।
দূর অতীত শোনো ডাকে বস জাগো-
মোদের সম্মান গৌরব রাখো।
ভবিষ্যতে শোনো ডাকে কর্মভেরী,
সুপ্তি পরিহারো, মুক্তি-অভিলাষী।
দক্ষিণে বামে দেখো জাগে কত জাতি-
নবীন উৎসাহে, নয়নে নব ভাতি।
জাগো, জাগাও সবে নব দেশপ্রেমে
শঙ্কা কোরো না হেরি’ বিপদ দুঃখরাশি।
৭ . মোদের গরব, মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা।
তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা।
কী জাদু বাংলা গানে গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে।
এমন কোথা আর আছে গো।
গেয়ে গান নাচে বাউল,
গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।
ওই ভাষাতেই নিতাই গোরা আনল
দেশে ভক্তিধারা- মরি হায় হায় রে।
আছে কই এমন ভাষা, এমন দুঃখ-শ্রান্তি-নাশা?
বিদ্যাপতি চণ্ডী গোবিন হেম মধু বঙ্কিম নবীন-
আরও কত মধুপ গো!-
এই ফুলেরি মধুর রসে বাঁধল সুখে মধুর বাসা।
বাজিয়ে রবি তোমার বীনে আনল মালা জগৎ জিনে!-
গরব কোথায় রাখি গো !-
তোমার চরণ-তীর্থে আজি জগৎ করে যাওয়া-আসা।
এই ভাষাতেই প্রথম বোলে ডাকনু মায়ে
‘মা’ ‘মা’ ব’লে এই ভাষাতেই বলব ‘হরি’ সাঙ্গ হলে কাঁদা হাসা।
৮ . খাঁচার গান গাইব না আর খাঁচায় ব’সে ।
কন্ঠ আমার রবে না আর পরের বশে।
সোনার শিকল দে রে খুলি, দুয়ারখানি দে রে তুলি।
বুকের জ্বালা যাব ভুলি মেঘ- পরশে শীতল মেঘের পরশে
থাকবে নীচে ধরার ধূলি; ভুলব পরের বচনগুলি।
বলব আবার আপন বুলি মন হরফে আপন মনের হরষে।
৯ . নূতন বরষ নূতন বরষ, তর অঞ্চলে ও কী ঢাকা?
মিলে নাই যাহা, হারিয়েছে যাহা, তাই কি গোপনে রাখা?
দীনের লাগিয়া এনেছ কি পান? ধনীর লাগিয়া এনেছ কি প্রাণ?
অলসের লাগি এনেছ কি শ্রম? সুপ্তের লাগি জাগা?
আশায় বসিয়া আছেন জননী তাঁর লাগি তুমি কী এনেছ ধনী?
খুচাবে কি তাঁর অতীতের পানে সজল চাহিয়া থাকা?
আসিবে কি হেথা প্রেমের শাসন? তুচ্ছের লাগি উচ্চ আসন?
শিখাবে কি দ্বেষ গর্ব পাসরি ভাই ব’লে ভাইয়ে ডাকা?
১০ . পরের শিকল ভাঙিস পরে, নিজের নিগড় ভাঙ রে ভাই।
আপন কারায় বন্ধ তোরা, পরের কারায় বন্দী তাই।
হা রে মূর্খ, হা রে অন্ধ ভাইয়ে ভাইয়ে করিস দ্বন্দ্ব!
দেশের শক্তি করিস মন্দ তোদের তুচ্ছ করে তাই সবাই;
সার ত্যজিয়ে খোসার বড়াই।
তাই মন্দির মসজিদে লড়াই প্রবেশ ক’রে
দেখ রে দু ভাই অন্দরে যে একজনাই।
দেশমাতার আর বিশ্বমাতার মেচ্ছ কাফের এক পরিবার।
নয় তুরস্ক, নয়কো তাতার- জন্ম-মৃত্যু এই যে ঠাঁই।
ভিন্ন জাত আর ভিন্ন বংশ- এক জাত তাই এক শো অংশ।
হিন্দু রে, তুই হবি ধ্বংস না ঘুচালে এই বালাই।
ভাইকে ছুঁলে পদতলে শুদ্ধ হোস তুই গঙ্গাজলে
ওরে সেই অদ্ভুত ছেলেই তুলে কোলে তুষ্ট হন যে গঙ্গা মাঈ ।
খাবি নে জল ভাইয়ের দেওয়া? খাস নে অন্ন তাদের ছোঁওয়া?
ওরে শবরীর আধ-খাওয়া নবীন উৎসাহে মেওয়া রঘুনাথ তো খেলেন তাই।
তোরাই আবার সভাস্থলে হাঁকিস সামা উচ্চরোলে,
সম-তন্ত্র চাস সকলে বিশ্বপ্রেমের দিস দোহাই!
জাতির গলায় জাতের ফাঁস, নবীন উৎসাহে ধর্ম করছে ধর্মনাশ,
নিজের পায়ে পরলি পাশ, দাসত্ব ঘোচে না তাই।
ছাড় দেখি রে রেষারেষি কর প্রাণে প্রাণে মেশামেশি।
তখন তোদের সব বিদেশী, দাস না ব’লে বলবে ভাই।
অতুলপ্রসাদ সেনের বিবিধ পর্যায়ের গানে স্বদেশচেতনা
১১ . আপন কাজে অচল হলে চলবে না রে চলবে না।
আলস স্তুতি-গানে তাঁর আসন টলবে না রে টলবে না।
হল যদি তোর না হয় সচল,
বিফল হবে জলদ-জল;
ঊষর ভূমে সোনার ফসল ফলবে না রে ফলবে না।
সবাই আগে যায় যে চলে বসে আছিস তুই কী বলে ?
নোঙর বেঁধে স্রোতের জলে তরী তোর চলবে না রে চলবে না।
তীরের বাঁধন দে রে খুলি, চলে যা তুই পালটি তুলি;
দিক যদি তুই না যাস ভুলি তরী তোর তলবে না রে তলবে না।
বিধি তোরে ছলবে না রে ছলবে না।
১২ . এসো প্রবাসমন্দিরে, এসো গো বঙ্গভারতী
দীন প্রবাসী বঙ্গজনের লহো গো দীন আরতি।
যতনে তুলিয়া প্রবাসফুল পূজিত তোমার চরণমূল
আসিবে নূতন ভকতকুল, করিবে চরণে প্রণতি।
তোমার বীণার মোহন তান মোহিবে নিখিল ভারত-প্রাণ,
গৌড়জনের গৌরব মান লভিবে নবীন শকতি।
সুজলা সুফলা ওগো শ্যামা, ওগো বাঙালি হৃদি-রমা
ভোলেনি তোমায় ভোলেনি মা, তোমার প্রবাসী সন্তুতি।
১৩ . এসো হে এসো হে
ভারতভূষণ, মোদের প্রবাসভবনে।
আমরা বাঙালি মিলিয়াছি আজ পুজিতে বঙ্গরতনে।
লহো আমাদের হরফ-ভার: পরো আমাদের প্রীতির হার:
হৃদয়ের থালা ভরিয়া এনেছি ভক্তিপুষ্পচন্দনে।
তোমার গৌরব, তোমার মান, তোমার সুকৃতি,
তোমার জ্ঞান, তোমার বিনয়,
প্রেম মহান ঘোষিছে ভারত বন্দনে।
ঈশপদে করি মিনতি আজ, করো করো
তুমি দেশের কাজ দেশের দৈন্য দেশের লাজ ঘুচাও দীর্ঘ জীবনে।
১৪ . জয়তু জয়তু জয়তু কবি, জয়তু পুরব উজ্জল রবি।
জয় জগতবিজয়ী কবি, জয় ভারতগৌরব রবি,
বঙ্গমাতার দুলাল ‘রবি’ জয় হে কবি। হে কবি,
তোমার মোহন তান নিখিলজনের মোহিছে প্ৰাণ,
নানা ভাষা লভি’ তোমার দান আজি গরবী-হে বিশ্বকবি।
কভু বাজাও ভেরী গভীর সুর, কভু বাজাও বীণা
মৃদুমধুর কভু বাজাও বেণু প্রেমবিধুর বিচিত্র করি।
স্বদেশের শঙ্খ যবে বাজাও সুপ্ত দেশবাসী-জনে জাগাও,
নবীন উৎসাহে সবে মাতাও হে বীর করি, দেশপ্রেমী কবি ।
বিশ্বের উদার সমতলে ভারতীর দেউল তুলিলে
দেশকালের ভেদ ভুলিলে কী নব ছবি।
হে কৰ্মী কবি। বিশ্বেরশ্বরের চরণতলে তব গীতগঙ্গা সুধা ঢালে,
দুঃখী তাপিত জনে শীতলে, হে দেবকবি ।
১৫ . ওহে পুরজন, দাও কিছু ধন প্লাবনপীড়িত জনে
তব দেশবাসী করে হাহাকার অন্ন গেহ বিহনে।
শিল্পী ও চাষি কত গেছে ভাসি দারুণ এ শ্রাবণে,
আশ্রয়হীন বস্ত্রবিহীন মৃত্যু মাগিছে মনে। আর সইতে নারে,
বলে হা বিধাতা। কাঁদিছে জননী কোলের বাছনি যায় বুঝি অনশনে।
কে আছ মা, ঘরে, দাও দেহভরে, বাঁচাও শিশুরে প্রাণে।
ওগো প্রেময়ী, ওগো শিশুর মাতা।
তব ভাইবোনে হরিবে শমনে সহিবে বলো কেমনে?
দাও কিছু দাও, বিপন্নে বাঁচাও- সুখী করো নারায়ণে।
ওহে পুরবাসী, করো দুঃখীর সেবা।
১৬ . প্রবাসী, চল্ রে দেশে চল
আর কোথায় পাবি এমন হাওয়া,
এমন গাঙের জল ! যখন ছিলি এতটুকু,
সেখাই পেলি মায়ের সুধা ঘুম-পাড়ানো বুক;
সেখাই পেলি সাথির মনে বালাখেলার সুখ;
যৌবনেতে ফুটল সেথাই হৃদয়-শতদল।- প্রবাসী, চল্ রে দেশে চল ।
হরির লুটের বাতাসা, আর পৌষ মাসের পিঠা,
পীরের সিন্নি, গাজির গান, আর করিমভাইয়ের ভিটা,
আহা মরি সেই স্মৃতি আজ লাগছে কত মিঠা
শিউলি বেলি কদম চাঁপা এমন কোথায় বল।-
প্রবাসী, চল্ রে দেশে চল। মনে পড়ে দেশের মাঠে খেত-ভরা সব ধান,
মনে পড়ে তরুণ চাষির করুণ বাঁশির তান,
মনে পড়ে পুকুর পাড়ে বকুল গানের গান
মনে পড়ে আকাশ ভরা মেঘ ও পাখির দল। – প্রবাসী, চল্ রে দেশে চল ।
আরও দেখুন :